বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনে, "নীহাররঞ্জন রায়"(১৯০৩-১৯৮১) মহাশয় এর অবদান।

 


 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঐতিহাসিক, রবীন্দ্রসাহিত্য বিশেষজ্ঞ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞান শিক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডক্টর নীহাররঞ্জন রায় বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলন ও বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। 


   বিভিন্ন সময়ে তিনি পরিষদের সভাপতি, সহ সভাপতি, কর্মসচিব পদে আসীন ছিলেন। তিনি যে শুধু পরিষদের উপরোক্ত পদগুলি অলংকৃত করেছিলেন তা নয়, পরিষদের গ্রন্থাগার বিজ্ঞান শিক্ষণ বিভাগের পরিচালক, "বেঙ্গল লাইব্রেরী ডাইরেক্টরির " প্রথম সংস্করণের সম্পাদক, এবং "বেঙ্গল লাইব্রারি অ্যাসোসিয়েশন ইন বুলেটিন " এর সম্পাদকও ছিলেন। 


  ১৯৩৮ সালে মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত পঞ্চম বঙ্গীয় গ্রন্থাগার সম্মেলনে তিনি সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ বঙ্গীয় গ্রন্থাগার সম্মেলন উদ্বোধন করেন। ১৯৫১ সালে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত নবম বঙ্গীয় গ্রন্থাগার সম্মেলনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন।


 ১৯৭৫ সালে বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। নীহাররঞ্জন ছিলেন বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ ও গ্রন্থাগার আন্দোলনের প্রথম যুগের সংগঠক। তিনি ভারতীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি জাতীয় গ্রন্থাগার এর পরিচালক এবং রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।


 বঙ্গদেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে ও সভা-সমিতিতে গ্রন্থাগার আন্দোলনের বক্তব্য প্রচার তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ,  "রানী বাগেশ্বরী" অধ্যাপক ছিলেন। ভারত সরকার তাকে , "পদ্মভূষণ"উপাধিতে ভূষিত করেন । তার লেখা বই , "বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব " রচনা আর জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।




  

Post a Comment

Previous Post Next Post