তিনকড়ি দত্ত (১৮৯৮-১৯৬৩)
বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা তিনকরি দত্ত, পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, কিন্তু সমগ্র জীবন বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলন ও বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেন। বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি, সহ সভাপতি, ও কর্ম সচিবসহ বিভিন্ন পদে আসীন ছিলেন।
তিনি রবিবাসর এবং বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। রবিবাসরের তিনি অন্যতম সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদে বিভিন্ন প্রকাশনা ও পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণে তার প্রেরণা উল্লেখযোগ্য।
বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের মাধ্যমে বঙ্গদেশের গ্রন্থাগার আন্দোলনের ব্যাপক প্রসারের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে গঞ্জে অবস্থিত বিভিন্ন সাধারণ গ্রন্থাগার এর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল। ভারতীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সম্মেলন গুলিতেও তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন।
তিনি ভারতীয় গ্রন্থাগার পরিষদের আজীবন সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ডক্টর রঙানাথান এর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিল।।
Anath bondhu Dutta/ অনাথ বন্ধু দত্ত (১৮৯৩-১৯৮১)
অনাথ বন্ধু দত্ত বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ ও বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলেন। পেশায় তিনি ছিলেন অধ্যাপক। বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, ভারত সভা প্রভৃতি সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত হন। বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের কর্মসচিব, সহ-সভাপতি এবং সভাপতি পদে আসীন ছিলেন। পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণে, গ্রন্থাগার পত্রিকার নিয়মিত প্রকাশনা প্রভৃতি বিষয়ে তিনি খুবই উৎসাহী ছিলেন।।
শৈল কুমার মুখোপাধ্যায় (১৮৯৯-১৯৭৩)
বিশিষ্ট জননেতা, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শৈল কুমার মুখোপাধ্যায় পরিষদের আজীবন সদস্য ছিলেন। গ্রন্থাগার আন্দোলনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যুক্ত না থাকলেও তিনি একসময় পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালে যথাক্রমে দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে এবং বীরভূম জেলার সিউড়িতে উনবিংশ ও একাবিংশ বঙ্গীয় গ্রন্থাগার সম্মেলন উদ্বোধন। বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের ভবন নির্মাণে সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষভাবে সহায়তা করেন।