বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনে বেল্লারী সামান্না কেশবন / Bellary Shamanna Kesavan (B.S. Kesavan ) মহাশয় এর অবদান (১৯০৯-২০০০)

        

        জাতীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক এবং ভারতীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী B . S . Kesabon বিভিন্ন গ্রন্থাগার পরিষদের সাথে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভারতীয় গ্রন্থাগার পরিষদের, সভাপতি, ইয়াসলিক ( IASLIC) ও বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।

        বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ পরিচালিত গ্রন্থাগার বিজ্ঞান শিক্ষণ এর পরিচালক ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। B. S . Kesabon / বি এস কেশবন ১৯৫৪ মালদহে অনুষ্ঠিত একাদশ বঙ্গীয় গ্রন্থাগার সম্মেলন উদ্বোধন করেন এবং ১৯৫৭ সালে পুরুলিয়ায় অনুষ্ঠিত চতুর্দশ বঙ্গ গ্রন্থাগার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

        জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শদাতা বা বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে তার সুপারিশ গ্রন্থাগার পরিষেবা বা গ্রন্থাগার আন্দোলনকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ভারত সরকার কর্তৃক নিয়োজিত গ্রন্থাগার উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

        গ্রন্থাগার উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ সমূহের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো 25 বছরের জন্য গ্রন্থাগার উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং আইন অনুযায়ী গ্রন্থাগার ব্যবস্থা প্রবর্তন।

        বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলন তার পরামর্শে ও নেতৃত্বের সমৃদ্ধশালী হয়। বঙ্গদেশের প্রতি তার আকর্ষণ এবং বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ সুবিদিত।

        বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ সম্পর্কে তার এতটাই দুর্বলতা ছিল যে তিনি encyclopaedia of library and information science -এই পরিষদ সম্পর্কে প্রবন্ধ রচনা করেন। তার লেখা India National library. গ্রন্থটি ১৯৬১ সালে জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়া ভারতীয় মুদ্রণ এর ইতিহাস সম্পর্কে গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post