বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনে " খান বাহাদুর আসাদুল্লাহ " মহাশয় এর অবদান ( ১৮৯০ – ১৯৪৯ ) [ Contribution of M.K. ASADULLAH in Bengal Library Movement ]

  

খলিফা মহম্মদ আসাদুল্লাহ লাহোরের এক সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীকালে লন্ডন থেকে লাইব্রেরিয়ানশিপ - এ ডিপ্লোমা পাওয়ার পর তিনি লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের " ফেলো " নির্বাচিত হন। তিনি ওই সংস্থার প্রথম ভারতীয় " ফেলো " ।

   আসাদুল্লাহ পর্যাক্রমে লাহোর ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে এবং দিল্লি ও সিমলায় অবস্থিত সেন্ট্রাল লাইব্রেরী তে কাজ করার পর ১৯২৮ সালে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে যোগদান করেন। ১৯৩০ সালে তিনি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীর গ্রন্থাগারিক নিযুক্ত হন। 

  ১৯৩৩ সালে বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদে পুনর্গঠনে পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে আসাদুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৩৩ সালে ভারতীয় গ্রন্থাগার পরিষদ স্থাপিত হলে তিনি তার প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এই সংস্থার সঙ্গে তিনি দীর্ঘকাল ধরে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

  ১৯৩৪ সালে বাঁশবেরিয়া তে পরিষদ যে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের প্রথম প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করে তার উদ্বোধন করেন খলিফা মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ।

১৯৩৩ সালে তারই উদ্যোগে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের কাজ করবে এবং বঙ্গীয় গ্রন্থাগার আন্দোলনের প্রসারে তিনি সব সময় উৎসাহ দিতেন।

  ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরীকে কপিরাইট লাইব্রেরীতে রূপান্তরিত করার জন্য তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৩৪ সালে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় গ্রন্থাগার আন্দোলন তিনি উদ্বোধন করেন। ১৯৩৬ সালে প্রথম কলকাতায় লাইব্রেরী সম্মেলনে তিনি সভাপতিত্ব করেন।

  দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি পাকিস্তানে চলে যান এবং পাকিস্তানের জাতীয় গ্রন্থাগারিক পদে আসীন হন।

Post a Comment

Previous Post Next Post